64-1 : আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে যাহা কিছু আছে সমস্তই আল্লাহ পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে, আধিপত্য তাঁহারই এবং প্রশংসা তাঁহারই; তিনি সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান। |
64-2 : তিনিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করিয়াছেন, অতঃপর তোমাদের মধ্যে কেহ হয় কাফির এবং এবং কেউ মুমনি। তোমরা যা কর।, আল্লাহ তা দেখেন। |
64-3 : তিনি সৃষ্টি করিয়াছেন আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী যথাযথভাবে এবং তোমাদেরকে আকৃতি দান করিয়াছেন - তোমাদের আকৃতি করিয়াছেন সুশোভন, এবং প্রত্যাবর্তন তো তাঁহারই নিকট। |
64-4 : আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে যাহা কিছু আছে সমস্তই তিনি জানেন এবং তিনি জানেন তোমরা যাহা গোপন কর ও তোমরা যাহা প্রকাশ কর এবং তিনি অন্তর্যামী। |
64-5 : তোমাদের নিকট কি পৌঁছে নাই পূর্ববর্তী কাফিরদের বৃত্তান্ত? উহারা উহাদের কর্মের মন্দ ফল আস্বাদন করিয়াছিল এবং উহাদের জন্য রহিয়াছে মর্মন্তুদ শাস্তি। |
64-6 : উহা এইজন্য যে, উহাদের নিকট উহাদের রাসূলগণ স্পষ্ট নিদর্শনসহ আসিত তখন উহারা বলিত, ‘মানুষই কি আমাদেরকে পথের সন্ধান দিবে?’ অতঃপর উহারা কুফরী করিল ও মুখ ফিরিয়ে নিল। এতে আল্লাহর কিছু আসে যায় না। আল্লাহ অমুখাপক্ষেী প্রশংসতি। |
64-7 : কাফিররা ধারণা করে যে, উহারা কখনও পুনরুত্থিত হইবে না। বল, ‘নিশ্চয়ই হইবে, আমার প্রতিপালকের শপথ! তোমরা অবশ্যই পুনরুত্থিত হইবে। অতঃপর তোমরা যাহা করিতে করা হবে যা তােমরা করত। এটা আল্লাহর পক্ষে সহজ। |
64-8 : অতএব তোমরা আল্লাহ ও তাঁহার রাসূল ও যে জ্যোতি আমি অবতীর্ণ করিয়াছি তাহাতে বিশ্বাস স্থাপন কর। তোমরা যা কর, সে বিষয়ে আল্লাহ সম্যক অবগত। |
64-9 : স্মরণ কর, যেদিন তিনি তোমাদেরকে সমবেত করিবেন সমাবেশ দিবসে সেদিন হইবে লাভ - লোকসানের দিন। যে ব্যক্তি আল্লাহর বিশ্বাস করে ও সৎকর্ম করে তিনি তাহার পাপ মোচন করিবেন এবং তাহাকে দাখিল করিবেন জান্নাতে; যাহার পাদদেশে নদী প্রবাহিত, সেখানে তাহারা হইবে চিরস্থায়ী। ইহাই মহাসাফল্য। |
64-10 : কিন্তু যাহারা কুফরী করে এবং আমার নিদর্শনসমূহকে অস্বীকার করে তাহারাই জাহান্নামের অধিবাসী, সেখানে তাহারা স্থায়ী হইবে। কত মন্দ সেই প্রত্যাবর্তনস্থল! |
64-11 : আল্লাহর অনুমতি ব্যতিরেকে কোন বিপদই আপতিত হয় না এবং যে আল্লাহকে বিশ্বাস করে তিনি তার অন্তরকে সৎপথ প্রর্দশন করেন। আল্লাহ র্সববিষয়ে সম্যক পরিজ্ঞাত। |
64-12 : তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর এবং রাসূলের আনুগত্য কর; যদি তোমরা মুখ ফিরাইয়া লও, তবে আমার রাসূলের দায়িত্ব কেবল স্পষ্টভাবে প্রচার করা। |
64-13 : আল্লাহ তিনি ব্যাতিত অন্য কোন ইলাহ নাই। সুতরাং মুমিনগন আল্লাহর উপর নির্ভর করুক। |
64-14 : ‘হে মু’মিনগণ! তোমাদের স্ত্রী ও সন্তান - সন্ততিদের মধ্যে কেহ কেহ তোমাদের শত্রু ; অতএব তাহাদের সম্পর্কে তোমরা সতর্ক থাকিও। তোমরা যদি উহাদেরকে মার্জনা কর, উহাদের দোষত্রুটি উপেক্ষা কর এবং উহাদেরকে ক্ষমা কর, তবে জানিয়া রাখ, আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। |
64-15 : তোমাদের সম্পদ ও সন্তান - সন্ততি তো পরীক্ষাবিশেষ; আর আল্লাহ তাঁহারই নিকট রহিয়াছে মহাপুরস্কার। |
64-16 : তোমরা আল্লাহকে যথাসাধ্য ভয় কর, এবং শোন, আনুগত্য কর ও ব্যয় কর তোমাদের নিজেদেরই কল্যাণের জন্য ; যাহারা অন্তরের কার্পণ্য হইতে মুক্ত ; তাহারাই সফলকাম। |
64-17 : যদি তোমরা আল্লাহকে উত্তম ঋণ দান কর তিনি তোমাদের জন্য উহা বহুগুণ বৃদ্ধি করিবেন এবং তা তোমাদেরকে ক্ষমা করবনে। আল্লাহ গুণগ্রাহী, সহনশীল। |
64-18 : তিনি দৃশ্য ও অদৃশ্যের পরিজ্ঞাতা, পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। |