14-1 : আলিফ - লাম্ - রা, এই কিতাব, ইহা তোমার প্রতি অবতীর্ণ করিয়াছি যাহাতে তুমি মানবজাতিকে তাহাদের প্রতিপালকের নিদের্শক্রমে বাহির করিয়া আনিতে পার অন্ধকার হইতে আলোকে, তাঁহার পথে যিনি পরাক্রমশালী, প্রশংসার্হ, |
14-2 : আল্লাহ আকাশ মন্ডলী ও পৃথিবীতে যাহা কিছু আছে তাহা তাঁহারই। কঠিন শাস্তির দুর্ভোগ কাফিরদের জন্য, |
14-3 : যাহারা দুনিয়ার জীবনকে আখিরাতের চেয়ে ভালবাসে, মানুষকে নিবৃত্ত করে আল্লাহর পথ হইতে এবং আল্লাহর পথ বক্র করিতে চাহে উহারা তো ঘোর বিভ্রান্তিতে রহিয়াছে। |
14-4 : আমি প্রত্যেক রাসূলকেই তাহার স্বজাতির ভাষাভাষী করিয়া পাঠাইয়াছি তাহাদের নিকট পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা করিবার জন্য, আল্লাহ যাহাকে ইচ্ছা বিভ্রান্ত করেন এবং যাহাকে ইচ্ছা সৎপথে পরিচালিত করেন এবং তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। |
14-5 : মূসাকে আমি তো আমার নিদর্শনসহ প্রেরণ করিয়াছিলাম এবং বলিয়াছিলাম, ‘তোমার সম্প্রদায়কে অন্ধকার হইতে আলোতে আনয়ন কর, এবং উহাদেরকে আল্লাহ দিবসগুলির দ্বারা উপদেশ দাও।’ ইহাতে তো নিদর্শন রহিয়াছে প্রত্যেক পরম ধৈর্যশীল ও পরম কৃতজ্ঞ ব্যক্তির জন্য। |
14-6 : স্মরণ কর, মূসা তাহার সম্প্রদায়কে বলিয়াছিল, ‘তোমরা আল্লাহ অনুগ্রহ’ স্মরণ কর যখন তিনি তোমাদেরকে রক্ষা করিয়াছিলেন ফির‘আওনী সম্প্রদায়ের কবল হইতে, যাহারা তোমাদেরকে নিকৃষ্ট শাস্তি দিত, তোমাদের পুত্রগণকে যবেহ্ করিত ও তোমাদের নারীগণকে জীবিত রাখিত; এবং ইহাতে ছিল তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ হইতে এক মহাপরীক্ষা।’ |
14-7 : স্মরণ কর, তোমাদের প্রতিপালক ঘোষণা করেন, ‘তোমরা কৃতজ্ঞ হইলে তোমাদেরকে অবশ্যই অধিক দিব আর অকৃতজ্ঞ হইলে অবশ্যই আমার শাস্তি হইবে কঠোর।’ |
14-8 : মূসা বলিয়াছিল, ‘তোমরা এবং পৃথিবীর সকলেই যদি অকৃতজ্ঞ হও তথাপি আল্লাহ অভাবমুক্ত এবং প্রশংসার্হ। |
14-9 : ‘তোমাদের নিকট কি সংবাদ আসে নাই তোমাদের পূর্ববর্তীদের, নূহের সম্প্রদায়ের, ‘আদের ও সামূদের এবং তাহাদের পরবর্তীদের? উহাদের বিষয় আল্লাহ ব্যতীত অন্য কেহ জানে না।’ উহাদের নিকট স্পষ্ট নিদর্শনসহ উহাদের রাসূল আসিয়াছিল, উহারা উহাদের হাত উহাদের মুখে স্থাপন করিত এবং বলিত, ‘যাহাসহ তোমরা প্রেরিত হইয়াছ তাহা আমরা অবশ্যই অস্বীকার করি এবং আমরা অবশ্যই বিভ্রান্তিকর সন্দেহে রহিয়াছি সে বিষয়ে, যাহার প্রতি তোমরা আমাদেরকে আহ্বান করিতেছ।’ |
14-10 : উহাদের রাসূলগণ বলিয়াছিল, আল্লাহ সম্বন্ধে কি কোন সন্দেহ আছে, যিনি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা? তিনি তোমাদেরকে আহ্বান করেন তোমাদের পাপ মার্জনা করিবার জন্য এবং নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত তোমাদেরকে অবকাশ দিবার জন্য।’ উহারা বলিত, ‘তোমরা তো আমাদেরই মত মানুষ। আমাদের পিতৃপুরুষগণ যাহাদের ‘ইবাদত করিত তোমরা তাহাদের ‘ইবাদত হইতে আমাদেরকে বিরত রাখিতে চাও। অতএব তোমরা আমাদের নিকট কোন অকাট্য প্রমাণ উপস্থিত কর।’ |
14-11 : উহাদের রাসূলগণ উহাদেরকে বলিত, ‘সত্য বটে, আমরা তোমাদের মত মানুষই কিন্তু আল্লাহ তাঁহার বান্দাদের মধ্যে যাহাকে ইচ্ছা অনুগ্রহ করেন। আল্লাহ অনুমতি ব্যতীত তোমাদের নিকট প্রমাণ উপস্থিত করা আমাদের কাজ নয়। আল্লাহর উপরই মু’মিনগণের নির্ভর করা উচিত। |
14-12 : আমাদের কি হইয়াছে যে, ‘আমরা আল্লাহর উপর নির্ভর করিব না? তিনিই তো আমাদেরকে পথ প্রদর্শন করিয়াছেন। তোমরা আমাদেরকে যে ক্লেশ দিতেছ, আমরা তাহাতে অবশ্যই ধৈর্য ধারন করিবে এবং আল্লাহর উপর নির্ভরকারীগন নির্ভর করুক। |
14-13 : কাফিররা উহাদের রাসূলগণকে বলিয়াছিল, ‘আমরা তোমাদেরকে আমাদের দেশ হইতে অবশ্যই বহিষ্কার করিব অথবা তোমাদেরকে আমাদের ধর্মাদর্শে ফিরিয়া আসিতেই হইবে।’ অতঃপর রাসূলগণকে তাহাদের প্রতিপালক ওহী প্রেরণ করিলেন, জালিমদেরকে আমি অবশ্যই বিনাশ করিব; |
14-14 : ‘উহাদের পরে আমি তোমাদেরকে দেশে প্রতিষ্ঠিত করিবই; ইহা তাহাদের জন্য যাহারা ভয় রাখে আমার সম্মুখে উপস্থিত হওয়ার এবং ভয় রাখে আমার শাস্তির।’ |
14-15 : উহারা বিজয় কামনা করিল এবং প্রত্যেক উদ্ধত স্বৈরাচারী ব্যর্থমনোরথ হইল। |
14-16 : উহাদের প্রত্যেকের জন্য পরিণামে জাহান্নাম রহিয়াছে এবং পান করানো হইবে গলিত পুঁজ; |
14-17 : যাহা সে অতি কষ্টে একেক ঢোক করিয়া গলাধঃকরণ করিবে এবং উহা গলাধঃকরণ করা প্রায় সহজ হইবে না। সর্বদিক হইতে তাহার নিকট আসিবে মৃত্যুযন্ত্রণা, কিন্তু তাহার মৃত্যু ঘটিবে না এবং ইহার পর কঠোর শাস্তি ভোগ করিতেই থাকিবে। |
14-18 : যাহারা তাহাদের প্রতিপালককে অস্বীকার করে তাহাদের উপমা - তাহাদের কর্মসমূহ ভস্মসদৃশ যাহা ঝড়ের দিনের বাতাস প্রচণ্ড বেগে উড়াইয়া লইয়া যায়। যাহা তাহারা উপার্জন করে তাহার কিছুই তাহারা তাহাদের কাজে লাগাইতে পারে না। ইহা তো ঘোর বিভ্রান্তি। |
14-19 : তুমি কি লক্ষ্য কর না যে, আল্লাহ আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী যথাবিধি সৃষ্টি করিয়াছেন? তিনি ইচ্ছা করিলে তোমাদের অস্তিত্ব বিলোপ করিতে পারেন এবং এক নূতন সৃষ্টি অস্তিত্বে আনিতে পারেন, |
14-20 : আর ইহা আল্লার জন্য কঠিন নয়। |
14-21 : সকলে আল্লাহ নিকট উপস্থিত হইবে। যাহারা অহংকার করিত তখন দুর্বলেরা তাহাদেরকে বলিবে, ‘আমরা তো তোমাদের অনুসারী ছিলাম; এখন তোমরা আল্লাহর শাস্তি হইতে আমাদেরকে কিছুমাত্র রক্ষা করিতে পারিবে?’ উহারা বলিবে, আল্লাহ আমাদেরকে সৎপথে পরিচালিত করিলে আমরাও তোমাদেরকে সৎপথে পরিচালিত করিতাম। এখন আমরা ধৈর্যচ্যুত হই অথবা ধৈর্যশীল হই একই কথা; আমাদের কোন নিষ্কৃতি নাই।’ |
14-22 : যখন বিচারকার্য সম্পন্ন হইবে তখন শয়তান বলিবে, আল্লাহ তো তোমাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়াছিলেন সত্য প্রতিশ্রুতি, আমিও তোমাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়াছিলাম, কিন্তু আমি তোমাদেরকে প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করিয়াছি। আমার তো তোমাদের উপর কোন আধিপত্য ছিল না, আমি কেবল তোমাদেরকে আহ্বান করিয়াছিলাম এবং তোমরা আমার আহ্বানে সাড়া দিয়াছিলে। সুতরাং তোমরা আমার প্রতি দোষারোপ করিও না, তোমরা নিজেদেরই প্রতি দোষারোপ কর। আমি তোমাদের উদ্ধারে সাহায্য করিতে সক্ষম নই এবং তোমরাও আমার উদ্ধারে সাহায্য করিতে সক্ষম নও। তোমরা যে পূর্বে আমাকে আল্লাহ শরীক করিয়াছিলে আমি তাহা অস্বীকার করিতেছি, জালিমদের জন্য তো মর্মন্তুদ শাস্তি রহিয়াছে। |
14-23 : যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে তাহাদেরকে দাখিল করা হইবে জান্নাতে যাহার পাদদেশে নদী প্রবাহিত। সেখানে তাহারা স্থায়ী হইবে, তাহাদের প্রতিপালকের অনুমতিক্রমে, সেখানে তাহাদের অভিবাদন হইবে ‘সালাম’। |
14-24 : তুমি কি লক্ষ্য কর না আল্লাহ কিভাবে উপমা দিয়া থাকেন? সৎবাক্যের তুলনা উৎকৃষ্ট বৃক্ষ যাহার মূল সুদৃঢ় ও যাহার শাখা - প্রশাখা ঊর্ধ্বে বিস্তৃত, |
14-25 : যাহা প্রত্যেক মওসুমে উহার ফলদান করে উহার প্রতিপালকের অনুমতিক্রমে। এবং আল্লাহ মানুষের জন্য উপমা দিয়া থাকেন, যাহাতে তাহারা শিক্ষা গ্রহণ করে। |
14-26 : কুবাক্যের তুলনা এক মন্দ বৃক্ষ যাহার মূল ভূপৃষ্ঠ হইতে বিচ্ছিন্ন, যাহার কোন স্থায়িত্ব নাই। |
14-27 : যাহারা শাশ্বত বাণীতে বিশ্বাসী তাহাদেরকে দুনিয়ার জীবনে ও আখিরাতে আল্লাহ সুপ্রতিষ্ঠিত রাখিবেন এবং যাহারা জালিম আল্লাহ উহাদেরকে বিভ্রান্তিতে রাখিবেন। আল্লাহ যাহা ইচ্ছা তাহা করেন। |
14-28 : তুমি কি উহাদেরকে লক্ষ্য কর না, যাহারা আল্লাহ অনুগ্রহের বদলে অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এবং উহারা উহাদের সম্প্রদায়কে নামাইয়া আনে ধ্বংসের ক্ষেত্রে - |
14-29 : জাহান্নামে, যাহার মধ্যে উহারা প্রবেশ করিবে, কত নিকৃষ্ট এই আবাসস্থল! |
14-30 : এবং উহারা আল্লাহ সমকক্ষ নির্ধারণ করে তাঁহার পথ হইতে বিভ্রান্ত করিবার জন্য। বল, ‘ভোগ করিয়া লও, পরিণামে দোযখই তোমাদের প্রত্যাবর্তনস্থল।’ |
14-31 : আমার বান্দাদের মধ্যে যাহারা মু’মিন তাহাদেরকে তুমি বল, সালাত কায়েম করিতে এবং আমি তাহাদেরকে জীবিকা হিসাবে যাহা দিয়াছি তাহা হইতে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করিতে - সেই দিনের পূর্বে যেদিন ক্রয় - বিক্রয় ও বন্ধুত্ব থাকিবে না।’ |
14-32 : তিনিই আল্লাহ যিনি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করিয়াছেন, যিনি আকাশ হইতে পানি বর্ষণ করিয়া তদ্দারা তোমাদের জীবিকার জন্য ফলমূল উৎপাদন করেন, যিনি নৌযানকে তোমাদের অধীন করিয়া দিয়াছেন যাহাতে তাঁহার বিধানে উহা সমুদ্রে বিচরণ করে এবং যিনি তোমাদের কল্যাণে নিয়োজিত করিয়াছেন নদীসমূহকে। |
14-33 : তিনি তোমাদের কল্যাণে নিয়োজিত করিয়াছেন সূর্য ও চন্দ্রকে, যাহারা অবিরাম একই নিয়মের অনুবর্তী এবং তোমাদের কল্যাণে নিয়োজিত করিয়াছেন রাত্রি ও দিবসকে। |
14-34 : এবং তিনি তোমাদেরকে দিয়াছেন তোমরা তাঁহার নিকট যাহা কিছু চাহিয়াছ তাহা হইতে। তোমরা আল্লাহ অনুগ্রহ গণনা করিলে উহার সংখ্যা নির্ণয় করিতে পারিবে না। মানুষ অবশ্যই অতিমাত্রায় জালিম, অকৃতজ্ঞ। |
14-35 : স্মরণ কর, ইব্রাহীম বলিয়াছিল, ‘হে আমার প্রতিপালক! এই নগরীকে নিরাপদ করিও এবং আমাকে ও আমার পুত্রগণকে প্রতিমা পূজা হইতে দূরে রাখিও। |
14-36 : ‘হে আমার প্রতিপালক! এই সকল প্রতিমা তো বহু মানুষকে বিভ্রান্ত করিয়াছে। সুতরাং যে আমার অনুসরণ করিবে সে - ই আমার দলভুক্ত, কিন্তু কেহ আমার অবাধ্য হইলে তুমি তো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। |
14-37 : ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমি আমার বংশধরদের কতককে বসবাস করাইলাম অনুর্বর উপত্যকায় তোমার পবিত্র গৃহের নিকট, হে আমাদের প্রতিপালক! এইজন্য যে, উহারা যেন সালাত কায়েম করে। অতএব তুমি কিছু লোকের অন্তর উহাদের প্রতি অনুরাগী করিয়া দাও এবং ফলাদি দ্বারা উহাদের রিযিকের ব্যবস্থা করিও, যাহাতে উহারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। |
14-38 : ‘হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি তো জান যাহা আমরা গোপন করি ও যাহা আমরা প্রকাশ করি; আকাশ মন্ডলী ও পৃথিবীর কিছুই গোপন থাকে না। |
14-39 : সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ যিনি আমাকে আমার বার্ধক্যে ইসমাইল ও ইস্হাককে দান করিয়াছেন। আমার প্রতিপালক অবশ্যই প্রার্থনা শুনিয়া থাকেন। |
14-40 : ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে সালাত কায়েমকারী কর এবং আমার বংশধরদের মধ্য হইতেও। হে আমাদের প্রতিপালক! আমার প্রার্থনা কবূল কর। |
14-41 : ‘হে আমাদের প্রতিপালক! যেই দিন হিসাব অনুষ্ঠিত হইবে সেই দিন আমাকে, আমার পিতামাতাকে এবং মু’মিনগণকে ক্ষমা করিও।’ |
14-42 : তুমি কখনও মনে করিও না যে, জালিমরা যাহা করে সে বিষয়ে আল্লাহ গাফিল, তবে তিনি উহাদেরকে সেই দিন পর্যন্ত অবকাশ দেন যেদিন তাহাদের চক্ষু হইবে স্থির। |
14-43 : ভীত - বিহ্বল চিত্তে আকাশের দিকে চাহিয়া উহারা ছুটাছুটি করিবে, নিজেদের প্রতি উহাদের দৃষ্টি ফিরিবে না এবং উহাদের অন্তর হইবে উদাস। |
14-44 : যেদিন তাহাদের শাস্তি আসিবে সেই দিন সম্পর্কে তুমি মানুষকে সতর্ক কর, তখন জালিমরা বলিবে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে কিছু কালের জন্য অবকাশ দাও, আমরা তোমার আহ্বানে সাড়া দিব এবং রাসূলগণের অনুসরণ করিব।’ তোমরা কি পূর্বে শপথ করিয়া বলিতে না যে, তোমাদের পতন নাই? |
14-45 : অথচ তোমরা বাস করিতে তাহাদের বাসভূমিতে, যাহারা নিজেদের প্রতি জুলুম করিয়াছিল এবং তাহাদের প্রতি আমি কি করিয়াছিলাম তাহাও তোমাদের নিকট সুবিদিত ছিল এবং তোমাদের নিকট আমি উহাদের দৃষ্টান্তও উপস্থিত করিয়াছিলাম। |
14-46 : উহারা ভীষণ চক্রান্ত করিয়াছিল, কিন্তু উহাদের চক্রান্ত আল্লাহ রহিত করিয়াছেন, যদিও উহাদের চক্রান্ত এমন ছিল, যাহাতে পর্বত টলিয়া যাইত। |
14-47 : তুমি কখনও মনে করিও না যে, আল্লাহ তাঁহার রাসূলগণের প্রতি প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেন। নিশ্চই আল্লাহ পরাক্রমশালী, দন্ডবিধায়ক। |
14-48 : যেদিন এই পৃথিবী পরিবর্তিত হইয়া অন্য পৃথিবী হইবে এবং আকাশমণ্ডলীও; এবং মানুষ উপস্থিত হইবে আল্লাহর সম্মুখে যিনি এক পরাক্রামশালী। |
14-49 : সেই দিন তুমি অপরাধীদেরকে দেখিবে শৃ´খলিত অবস্থায়, |
14-50 : উহাদের জামা হইবে আলকাতরার এবং অগ্নি আচ্ছন্ন করিবে উহাদের মুখমণ্ডল; |
14-51 : ইহা এইজন্য যে, আল্লাহ প্রত্যেকের কৃতকর্মের প্রতিফল দিবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ দ্রুত হিসাব গ্রহণ করেন। |
14-52 : ইহা মানুষের জন্য এক বার্তা, যাহাতে ইহা দ্বারা উহারা সতর্ক হয় এবং জানিতে পারে যে, তিনি একমাত্র ইলাহ্ এবং যাহাতে বোধশক্তি - সম্পন্নেরা উপদেশ গ্রহণ করে। |