13-1 : আলিফ্ - লাম - মীম্ - রা, এইগুলি কুরআনের আয়াত, যাহা তোমার প্রতিপালক হইতে তোমার প্রতি অবতীর্ণ হইয়াছে তাহাই সত্য; কিন্তু অধিকাংশ মানুষ ইহাতে ঈমান আনে না। |
13-2 : আল্লাহ ঊর্ধ্বদেশে আকাশমণ্ডলী স্থাপন করিয়াছেন স্তম্ভ ব্যতীত - তোমরা ইহা দেখিতেছ। অতঃপর তিনি র্আশে সমাসীন হইলেন এবং সূর্য ও চন্দ্রকে নিয়মাধীন করিলেন; প্রত্যেকে নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত আবর্তন করে। তিনি সকল বিষয় নিয়ন্ত্রণ করেন এবং নিদর্শনসমূহ বিশদভাবে বর্ণনা করেন, যাহাতে তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের সঙ্গে সাক্ষাৎ সম্বন্ধে নিশ্চিত বিশ্বাস করিতে পার। |
13-3 : তিনিই ভূতলকে বিস্তৃত করিয়াছেন এবং উহাতে পর্বত ও নদী সৃষ্টি করিয়াছেন এবং প্রত্যেক প্রকারের ফল সৃষ্টি করিয়াছেন জোড়ায় জোড়ায়। তিনি দিবসকে রাত্রি দ্বারা আচ্ছাদিত করেন। ইহাতে অবশ্যই নিদর্শন রহিয়াছে চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য। |
13-4 : পৃথিবীতে রহিয়াছে পরস্পর - সংলগ্ন ভূখণ্ড, উহাতে আছে দ্রাক্ষা কানন, শস্যক্ষেত্র, একাধিক শিরবিশিষ্ট অথবা এক শিরবিশিষ্ট খর্জুর - বৃক্ষ সিঞ্চিত একই পানিতে, এবং ফল হিসাবে উহাদের কতককে কতকের উপর আমি শ্রেষ্ঠত্ব দিয়া থাকি। অবশ্যই বোধশক্তিসম্পন্ন সম্প্রদায়ের জন্য ইহাতে রহিয়াছে নিদর্শন। |
13-5 : যদি তুমি বিস্মিত হও, তবে বিস্ময়ের বিষয় উহাদের কথা - ‘মাটিতে পরিণত হওয়ার পরও কি আমরা নূতন জীবন লাভ করিব?’ উহারাই উহাদের প্রতিপালককে অস্বীকার করে এবং উহাদেরই গলদেশে থাকিবে লৌহশৃঙ্খল। উহারাই দোযখবাসী ও সেখানে উহারা স্থায়ী হইবে। |
13-6 : মঙ্গলের পূর্বে উহারা তোমাকে শাস্তিত্বরান্নিত করিতে বলে, যদিও উহাদের পূর্বে ইহার বহু দৃষ্টান্ত গত হইয়াছে। মানুষের সীমালংঘন সত্ত্বেও তোমার প্রতিপালক তো মানুষের প্রতি ক্ষমাশীল এবং তোমার প্রতিপালক শাস্তিদানে তো কঠোর। |
13-7 : যাহারা কুফরী করিয়াছে তাহারা বলে, ‘তাহার প্রতিপালকের নিকট হইতে তাহার নিকট কোন নিদর্শন অবতীর্ণ হয় না কেন?’ তুমি তো কেবল সতর্ককারী এবং প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্য আছে পথপ্রদর্শক। |
13-8 : প্রত্যেক নারী যাহা গর্ভে ধারণ করে এবং জরায়ুতে যাহা কিছু কমে ও বাড়ে আল্লাহ তাহা জানেন এবং তাঁহার বিধানে প্রত্যেক বস্তুরই এক নির্দিষ্ট পরিমাণ আছে। |
13-9 : যাহা অদৃশ্য ও যাহা দৃশ্যমান তিনি তাহা অবগত; তিনি মহান, সর্বোচ্চ মর্যাদাবান। |
13-10 : তোমাদের মধ্যে যে কথা গোপন রাখে অথবা যে উহা প্রকাশ করে, রাত্রিতে যে আত্মগোপন করে দিবসে যে প্রকাশ্যে বিচরন করে তাহারা সমভাবে আল্লাহর জ্ঞানগোচর। |
13-11 : মানুষের জন্য তাহার সম্মুখে ও পশ্চাতে একের পর এক প্রহরী থাকে; উহারা আল্লাহর আদেশে তাহার রক্ষণাবেক্ষণ করে। এবং আল্লাহ কোন সম্প্রদায়ের অবস্থা পরিবর্তন করেন না যতক্ষণ না উহারা নিজ অবস্থা নিজে পরিবর্তন করে। কোন সম্প্রদায় সম্পর্কে যদি আল্লাহ অশুভ কিছু ইচ্ছা করেন তবে তাহা রদ হইবার নহে এবং তিনি ব্যতীত উহাদের কোন অভিভাবক নাই। |
13-12 : তিনিই তোমাদেরকে দেখান বিজলী, ভয় ও ভরসা সঞ্চার করান এবং তিনিই সৃষ্টি করেন ভারী মেঘ; |
13-13 : বজ্রধ্বনি তাঁহার সপ্রশংস মহিমা ও পবিত্রতা ঘোষণা করে, ফিরিশ্তাগণও করে তাহার ভয়ে। তিনি বজ্রপাত করেন এবং যাহাকে ইচ্ছা উহা দ্বারা আঘাত করেন। আর উহারা আল্লাহ সম্বন্ধে বিতণ্ডা করে, অথচ তিনি মহাশক্তিশালী। |
13-14 : সত্যের আহ্বান তাঁহারই। যাহারা তাঁহাকে ব্যতীত আহ্বান করে অপরকে, তাহাদেরকে কোনই সাড়া দেয় না উহারা; তাহাদের দৃষ্টান্ত সেই ব্যক্তির মত, যে তাহার মুখে পানি পৌঁছিবে - এই আশায় তাহার হস্তদ্বয় প্রসারিত করে পানির দিকে, অথচ উহা তাহার মুখে পৌঁছিবার নয়, কাফিরদের আহ্বান নিষ্ফল। |
13-15 : আল্লাহর প্রতি সিজ্দাবনত21 হয় আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে যাহা কিছু আছে ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায় এবং তাহাদের ছায়াগুলিও সকাল ও সন্ধ্যায়। |
13-16 : বল, ‘কে আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর প্রতিপালক?’ বল, আল্লাহ বল, ‘তবে কি তোমরা অভিভাবকরূপে গ্রহণ করিয়াছ আল্লাহর পরিবর্তে অপরকে যাহারা নিজেদের লাভ বা ক্ষতি সাধনে সক্ষম নয়?’ বল, ‘অন্ধ ও চক্ষুষ্মান কি সমান অথবা অন্ধকার ও আলো কি এক?’ তবে কী তাহারা আল্লাহর এমন শরীক করিয়াছে, যাহারা আল্লাহর সৃষ্টির মত সৃষ্টি করিয়াছে, যে কারণে সৃষ্টি উহাদের নিকট সদৃশ মনে হইয়াছে? বল, আল্লাহ সকল বস্তুর স্রষ্টা; তিনি এক, পরাক্রমশালী।’ |
13-17 : তিনি আকাশ হইতে বৃষ্টিপাত করেন, ফলে উপত্যকাসমূহ উহাদের পরিমাণ অনুযায়ী প্লাবন হয় এবং প্লাবন তাহার উপরিস্থিত আবর্জনা বহন করে, এইরূপে আবর্জনা উপরিভাগে আসে যখন অলংকার অথবা তৈজসপত্র নির্মাণ উদ্দেশ্যে কিছু অগ্নিতে উত্তপ্ত করা হয়। এইভাবে আল্লাহ সত্য ও অসত্যের দৃষ্টান্ত দিয়া থাকেন। যাহা আবর্জনা তাহা ফেলিয়া দেওয়া হয় এবং যাহা মানুষের উপকারে আসে তাহা জমিতে থাকিয়া যায়। এইভাবে আল্লাহ উপমা দিয়ে থাকেন। |
13-18 : মঙ্গল তাহাদের যাহারা তাহাদের প্রতিপালকের আহ্বানে সাড়া দেয়। এবং যাহারা তাঁহার ডাকে সাড়া দেয় না, তাহাদের যদি পৃথিবীতে যাহা কিছু আছে তাহা সমস্তই থাকিত এবং তাহার সঙ্গে সমপরিমাণ আরো থাকিত উহারা মুক্তিপণস্বরূপ তাহা দিত। উহাদের হিসাব হইবে কঠোর এবং জাহান্নাম হইবে উহাদের আবাস, উহা কত নিকৃষ্ট আশ্রয়স্থল। |
13-19 : তোমার প্রতিপালক হইতে তোমার প্রতি যাহা অবতীর্ণ হইয়াছে তাহা যে ব্যক্তি সত্য বলিয়া জানে আর যে অন্ধ তাহারা কি সমান? উপদেশ গ্রহণ করে শুধু বিবেকশক্তি সম্পন্নগণই, |
13-20 : যাহারা আল্লাহ প্রদত্ত অঙ্গীকার রক্ষা করে এবং প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করে না। |
13-21 : এবং আল্লাহ যে সম্পর্ক অক্ষুন্ন রাখিতে আদেশ করিয়াছেন যাহারা তাহা অক্ষুন্ন রাখে, ভয় করেতাহাদের প্রতিপালককে এবং ভয় করে কঠোর হিসাবকে, |
13-22 : এবং যাহারা তাহাদের প্রতিপালকের সন্তুষ্টি লাভের জন্য ধৈর্য ধারণ করে, সালাত কায়েম করে, আমি তাহাদেরকে যে জীবনোপকরণ দিয়াছি তাহা হইতে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে এবং যাহারা ভাল দ্বারা মন্দ দূরীভূত করে, ইহাদের জন্য শুভ পরিণাম - |
13-23 : স্থায়ী জান্নাত, উহাতে তাহারা প্রবেশ করিবে এবং তাহাদের পিতা - মাতা, পতি - পত্নী ও সন্তানসন্ততিদের মধ্যে যাহারা সৎকর্ম করিয়াছে তাহারাও এবং ফিরিশ্তাগণ তাহাদের নিকট উপস্থিত হইবে প্রত্যেক দ্বার দিয়া, |
13-24 : এবং বলিবে, ‘তোমরা ধৈর্য ধারণ করিয়াছ বলিয়া তোমাদের প্রতি শান্তি; কত উত্তম এই পরিণাম। |
13-25 : যাহারা আল্লাহ সঙ্গে দৃঢ় অঙ্গীকারে আবদ্ধ হইবার পর উহা ভঙ্গ করে, যে সম্পর্ক অক্ষুন্ন রাখিতে আল্লাহ আদেশ করিয়াছেন, তাহা ছিন্ন করে এবং পৃথিবীতে অশান্তিসৃষ্টি করিয়া বেড়ায়, তাহাদের জন্য আছে লা‘নত এবং তাহাদের জন্য আছে মন্দ আবাস। |
13-26 : আল্লাহ যাহার জন্য ইচ্ছা তাহার জীবনোপকরণ বর্ধিত করেন এবং সংকুচিত করেন; কিন্তু ইহারা পার্থিব জীবনে আল্লাহ অথচ দুনিয়ার জীবন তো আখিরাতের তুলনায় ক্ষণস্থায়ী ভোগমাত্র। |
13-27 : যাহারা কুফরী করিয়াছে তাহারা বলে, ‘তাহার প্রতিপালকের নিকট হইতে তাহার নিকট কোন নিদর্শন অবতীর্ণ হয় না কেন?’ বল, আল্লাহ যাহাকে ইচ্ছা বিভ্রান্ত করেন এবং তিনি তাহাদেরকে তাঁহার পথ দেখান যাহারা তাঁহার অভিমুখী, |
13-28 : ‘যাহারা ঈমান আনে এবং আল্লাহ স্মরণে যাহাদের চিত্ত প্রশান্ত হয় ; জানিয়া রাখ, আল্লাহ স্মরণেই চিত্ত প্রশান্ত হয়; |
13-29 : ‘যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, পরম আনন্দ এবং শুভ পরিণাম তাহাদেরই।’ |
13-30 : এইভাবে আমি তোমাকে পাঠাইয়াছি এক জাতির প্রতি যাহার পূর্বে বহু জাতি গত হইয়াছে, উহাদের নিকট তিলাওয়াত করিবার জন্য, যাহা আমি তোমার প্রতি প্রত্যাদেশ করিয়াছি। তথাপি উহারা দয়াময়কে অস্বীকার করে। বল, ‘তিনিই আমার প্রতিপালক; তিনি ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ্ নাই। তাঁহারই উপর আমি নির্ভর করি এবং আমার প্রত্যাবর্তন তাঁহারই নিকট।’ |
13-31 : যদি কোন কুরআন এমন হইত যদ্ধারাপর্বতকে গতিশীল করা যাইত অথবা পৃথিবীকে বিদীর্ণ করা যাইত অথবা মৃতের সঙ্গে কথা বলা যাইত, তবুও উহারা উহাতে বিশ্বাস করিত না। কিন্তু সমস্ত বিষয়ই আল্লাহ ইখ্তিয়ারভুক্ত। তবে কি যাহারা ঈমান আনিয়াছে তাহাদের প্রত্যয় হয় নাই যে, আল্লাহ ইচ্ছা করিলে নিশ্চয়ই সকলকে সৎপথে পরিচালিত করিতে পারিতেন? যাহারা কুফরী করিয়াছে তাহাদের কর্মফলের জন্য তাহাদের বিপর্যয় ঘটিতেই থাকিবে, অথবা বিপর্যয় তাহাদের আশেপাশে আপতিত হইতেই থাকিবে যতক্ষণ পর্যন্ত না আল্লাহ প্রতিশ্রুতি আসিয়া পড়িবে নিশ্চই আল্লাহ প্রতিশ্রুতির ব্যাতিক্রম করেন না। |
13-32 : তোমার পূর্বেও অনেক রাসূলকে ঠাট্টা - বিদ্রপকরা হইয়াছে এবং যাহারা কুফরী করিয়াছে তাহাদেরকে আমি কিছু অবকাশ দিয়াছিলাম, তাহার পর উহাদেরকে শাস্তিদিয়াছিলাম। কেমন ছিল আমার শাস্তি! |
13-33 : তবে কি প্রত্যেক মানুষ যাহা করে তাহার যিনি পর্যবেক্ষক তিনি ইহাদের অক্ষম ইলাহ্গুলির মত? অথচ উহারা আল্লাহ বহু শরীক করিয়াছে। বল, ‘উহাদের পরিচয় দাও।’ তোমরা কি পৃথিবীর মধ্যে এমন কিছুর সংবাদ দিতে চাও - যাহা তিনি জানেন না? অথবা ইহা বাহ্যিক কথা মাত্র? না, কাফিরদের নিকট উহাদের ছলনা শোভন প্রতীয়মান হইয়াছে এবং উহাদেরকে সৎপথ হইতে নিবৃত্ত করা হইয়াছে, আর আল্লাহ যাহাকে বিভ্রান্তকরেন তাহার কোন পথপ্রদর্শক নাই। |
13-34 : উহাদের জন্য দুনিয়ার জীবনে আছে শাস্তি এবং আখিরাতের শাস্তি তো আরো কঠোর! এবং আল্লাহর শাস্তি থেকে রক্ষা করিবার উহাদের কেহ নাই। |
13-35 : মুত্তাকীদেরকে যে জান্নাতের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হইয়াছে, তাহার উপমা এইরূপ : উহার পাদদেশে নদী প্রবাহিত, উহার ফলসমূহ ও ছায়া চিরস্থায়ী। যাহারা মুত্তাকী ইহা তাহাদের কর্মফল এবং কাফিরদের কর্মফল দোযখ। |
13-36 : আমি যাহাদেরকে কিতাব দিয়াছি তাহারা যাহা তোমার প্রতি অবতীর্ণ হইয়াছে তাহাতে আনন্দ পায়, কিন্তু কোন কোন দল উহার কতক অংশ অস্বীকার করে। বল, ‘আমি তো আল্লাহ ‘ইবাদত করিতে ও তাঁহার কোন শরীক না করিতে আদিষ্ট হইয়াছি। আমি তাঁহারই প্রতি আহ্বান করি এবং তাঁহারই নিকট আমার প্রত্যাবর্তন।’ |
13-37 : এইভাবে আমি কুরআন অবতীর্ণ করিয়াছি বিধানরূপে আরবী ভাষায়। জ্ঞান প্রাপ্তির পর তুমি যদি তাহাদের খেয়াল - খুশির অনুসরণ কর তবে আল্লাহ বিরুদ্ধে তোমার কোন অভিভাবক ও রক্ষক থাকিবে না। |
13-38 : তোমার পূর্বে আমি তো অনেক রাসূল প্রেরণ করিয়াছিলাম এবং তাহাদেরকে স্ত্রী ও সন্তানসন্ত তি দিয়াছিলাম। আল্লাহ অনুমতি ব্যতীত কোন নিদর্শন উপস্থিত করা কোন রাসূলের কাজ নয়। প্রত্যেক বিষয়ের নির্ধারিত কাল লিপিবদ্ধ। |
13-39 : আল্লাহ যাহা ইচ্ছা তাহা নিশ্চিহ্ন করেন এবং যাহা ইচ্ছা তাহা প্রতিষ্ঠিত রাখেন এবং তাঁহারই নিকট আছে উম্মুল কিতাব। |
13-40 : উহাদেরকে যে শাস্তির প্রতিশ্রুতি দিয়াছি তাহার কিছু যদি তোমাকে দেখাই অথবা যদি ইহার পূর্বে তোমার কাল পূর্ণ করিয়া দেই - তোমার কর্তব্য তো কেবল প্রচার করা এবং হিসাব - নিকাশ তো আমার কাজ। |
13-41 : উহারা কি দেখে না যে, আমি উহাদের দেশকে চতুর্দিক হইতে সংকুচিত করিয়া আনিতেছি? আল্লাহ আদেশ করেন তাহার আদেশ রদ করিবার কেহ নাই এবং তিনি হিসাব গ্রহনে তৎপর। |
13-42 : উহাদের পূর্বে যাহারা ছিল তাহারাও চক্রান্ত করিয়াছিল; কিন্তু সমস্ত— আল্লাহ ইখতিয়ারে। প্রত্যেক ব্যক্তি যাহা করে তাহা তিনি জানেন এবং কাফিররা শীঘ্রই জানিবে শুভ পরিণাম কাহাদের জন্য। |
13-43 : যাহারা কুফরী করিয়াছে তাহারা বলে, ‘তুমি আল্লাহ প্রেরিত নও।’ বল, আল্লাহ এবং যাহাদের নিকট কিতাবের জ্ঞান আছে, তাহারা আমার ও তোমাদের মধ্যে সাক্ষী হিসাবে যথেষ্ট।’ |