মদিনায় অবতীর্ণ, আয়াত সংখ্যা: ১৮, রুকু সংখ্যা: ০২এই সূরার আলোচ্যসূচি
|
64-1 : মহাকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সবই তসবিহ্ করছে আল্লাহর। সর্বময় কর্তৃত্ব তাঁরই, আর সমস্ত প্রশংসাও তাঁরই এবং প্রতিটি বিষয়ে তিনি সর্বশক্তিমান। |
64-2 : তিনিই তোমাদের সৃষ্টি করেছেন। তারপর তোমাদের মধ্যে হয়েছে কেউ কাফির আর কেউ হয়েছে মুমিন। তোমরা যা করো তা আল্লাহর দৃষ্টিতেই রয়েছে। |
64-3 : তিনি মহাকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন সত্য ও যথাযথভাবে। তিনিই তোমাদের আকৃতি দিয়েছেন এবং তোমাদের আকৃতিকে সুন্দর করেছেন। তাঁরই কাছে হবে প্রত্যাবর্তন। |
64-4 : মহাকাশ এবং পৃথিবীতে যা কিছু আছে সবই তিনি জানেন। তোমরা যা গোপন করো এবং যা প্রকাশ করো তাও তিনি জানেন। আল্লাহ্ই অন্তরযামী। |
64-5 : আগেকার কাফিরদের বার্তা কি তোমাদের কাছে পৌঁছেনি? তারা তাদের কর্মকান্ডের প্রতিফল ভোগ করেছে। তাছাড়াও তাদের জন্যে রয়েছে বেদনাদায়ক আযাব। |
64-6 : এর কারণ, তাদের কাছে তাদের রসূলরা এসেছিল সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলি নিয়ে। কিন্তু তারা বলেছিল: ‘আমাদেরকে সঠিক পথের সন্ধান দেবে কি একজন মানুষ!’ ফলে তারা কুফুরি করে এবং মুখ ফিরিয়ে নেয়। কিন্তু এতে আল্লাহর কিছুই আসে যায়না। আল্লাহ্ প্রাচুর্যশীল সপ্রশংসিত। |
64-7 : অবিশ্বাসীরা ধারণা করছে, তাদেরকে কখনো পুনরুত্থিত করা হবেনা! তুমি বলো: ‘‘হ্যাঁ, আমার প্রভুর শপথ, অবশ্যি তোমাদের পুনরুত্থিত করা হবে। তারপর তোমাদের অবশ্যি অবহিত করা হবে সেসব (অপ)কর্ম, যা তোমরা (পৃথিবীর জীবনে) করতে। এ কাজ আল্লাহর জন্যে খুবই সহজ।’’ |
64-8 : সুতরাং তোমরা ঈমান আনো আল্লাহর প্রতি, তাঁর রসূলের প্রতি এবং আমাদের নাযিল করা নূরের প্রতি। তোমরা যা করো আল্লাহ্ সে বিষয়ে খবর রাখেন। |
64-9 : যেদিন তিনি তোমাদের জমা করবেন জমায়েতের দিন, সেটাই হবে হারজিতের দিন। যে কেউ ঈমান আনবে আল্লাহর প্রতি এবং আমলে সালেহ্ করবে, তার থেকে মুছে দেয়া হবে তার পাপসমূহ এবং তাকে দাখিল করা হবে জান্নাতে, যার নিচে দিয়ে বহমান থাকবে নদ নদী নহর। চিরকাল থাকবে তারা সেখানে স্থায়ীভাবে। এটাই মহাসাফল্য। |
64-10 : আর যারা কুফুরি করবে এবং প্রত্যাখ্যান করবে আমাদের আয়াত, তারাই হবে আগুনের অধিবাসী, চিরকাল থাকবে তারা সেখানে। আর সেটা কতো যে নিকৃষ্ট ফিরে যাবার জায়গা! |
64-11 : কোনো মসিবতই আসেনা আল্লাহর অনুমতি ছাড়া। আর যে কেউ ঈমান আনবে আল্লাহর প্রতি, আল্লাহ্ তার অন্তরকে পরিচালিত করবেন সঠিক পথে। আল্লাহ্ প্রতিটি বিষয়ে জ্ঞানী। |
64-12 : তোমরা আনুগত্য করো আল্লাহর, আনুগত্য করো এই রসূলের, যদি মুখ ফিরিয়ে নাও, তবে জেনে রাখো, আমাদের রসূলের দায়িত্ব কেবল স্পষ্টভাবে বার্তা পৌঁছে দেয়া। |
64-13 : আল্লাহ্, তিনি ছাড়া কোনো ইলাহ্ নেই। মুমিনরা আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করুক। |
64-14 : হে ঈমানদার লোকেরা! নিশ্চয়ই তোমাদের স্ত্রী ও সন্তানদের মধ্যে রয়েছে তোমাদের শত্রু, সুতরাং তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকো। আর যদি তাদের মাফ করে দাও, তাদের দোষত্রুটি উপেক্ষা করো এবং তাদের ক্ষমা করে দাও তবে অবশ্যি আল্লাহ্ পরম ক্ষমাশীল, দয়াবান। |
64-15 : নিশ্চয়ই তোমাদের মাল সম্পদ ও সন্তান - সন্ততি একটি পরীক্ষা, আর আল্লাহর কাছেই রয়েছে মহাপুরস্কার। |
64-16 : অতএব, তোমরা আল্লাহকে ভয় করো তোমাদের সাধ্যমতো এবং শুনো, মেনে নাও আর খরচ করো (আল্লাহর পথে), এটাই তোমাদের নিজেদের জন্যে কল্যাণকর। যারা মনের সংকীর্ণতা থেকে মুক্ত হয়, তারাই অর্জন করে সফলতা। |
64-17 : তোমরা যদি আল্লাহকে করজে হাসানা (উত্তম ঋণ) দাও, তিনি তা তোমাদের জন্যে বহুগুণে বৃদ্ধি করে ফেরত দেবেন, তোমাদের ক্ষমা করে দেবেন। অবশ্যি আল্লাহ্ গুণগ্রাহী, ধৈর্যশীল। |
64-18 : তিনি গায়েব ও দৃশ্যের জ্ঞানী, মহাপরাক্রমশীল, মহাপ্রজ্ঞাবান। |