আল কুরআন: বাংলা অনুবাদ, আবদুস শহীদ নাসিম, Chapter: 61, আস্ সফ (সারি)

Go Back
Book Id: 10030

আল কুরআন: বাংলা অনুবাদ, আবদুস শহীদ নাসিম

Chapter: 61, আস্ সফ (সারি)



মদিনায় অবতীর্ণ, আয়াত সংখ্যা: ১৪, রুকু সংখ্যা: ০২

এই সূরার আলোচ্যসূচি

আয়াতআলোচ্য বিষয়
০১-০৬মুমিনদের দ্বিমুখী আচরণের নিন্দা। মূসা এবং ঈসার সাথিরা তাদের কষ্ট দিয়েছিল। ঈসা আ. আহমদের আগমনের ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন।
০৭-০৯কাফিররা ইসলামের আলো নিভিয়ে দিতে চায়। রসূলকে পাঠানো হয়েছে ইসলামকে বিজয়ী করার উদ্দেশ্যে।
১০-১৪আযাব থেকে মুক্তির উপায় ঈমান ও জিহাদ। মুমিনদেরকে আল্লাহর সাহায্যকারী হওয়ার নির্দেশ, যেমনটি হয়েছিল ঈসার সাথিরা।
61-1 : যা কিছু আছে মহাকাশে এবং যা কিছু আছে পৃথিবীতে সবই আল্লাহর তসবিহ্ করে এবং তিনি মহাশক্তিধর, মহাপ্রজ্ঞাবান।
61-2 : হে ঈমানদার লোকেরা! তোমরা এমন কথা কেন বলো, যা তোমরা করোনা?
61-3 : তোমরা যা করোনা, তোমাদের সেকথা বলাটা আল্লাহর কাছে খুবই অসন্তোষজনক।
61-4 : আল্লাহ্ সেইসব লোকদের ভালোবাসেন, যারা তাঁর পথে লড়াই করে সীসা ঢেলে তৈরি করা মজবুত প্রাচীরের মতো সারিবদ্ধ হয়ে।
61-5 : মূসা যখন তার কওমকে বলেছিল: ‘হে আমার কওম! তোমরা কেন আমাকে কষ্ট দাও? অথচ তোমরা তো জানো, আমি তোমাদের কাছে আল্লাহর রসূল। তারপর তারা যখন বক্রতা অবলম্বন করে তখন আল্লাহ্ও তাদের অন্তরকে বক্র করে দেন। আল্লাহ্ ফাসিকদের সঠিক পথ দেখাননা।
61-6 : স্মরণ করো, মরিয়মের পুত্র ঈসা যখন বলেছিল: ‘হে বনি ইসরাঈল! আমি তোমাদের প্রতি আল্লাহর রসূল। আমার আগে থেকেই তোমাদের কাছে যে তাওরাত রয়েছে আমি তার সত্যায়ন করছি এবং আমি সুসংবাদ দিচ্ছি, আমার পরে একজন রসূল আসবেন, তাঁর নাম হবে আহমদ।’ তারপর সে (আহমদ) যখন স্পষ্ট নিদর্শনাবলি নিয়ে তাদের কাছে এলো, তারা বললো: ‘এতো এক স্পষ্ট ম্যাজিক।’
61-7 : ঐ ব্যক্তির চাইতে বড় যালিম আর কে, যাকে ইসলামের দিকে ডাকা সত্ত্বেও সে মিথ্যা রচনা করে আল্লাহর প্রতি আরোপ করে? আল্লাহ্ যালিম লোকদের সঠিক পথে পরিচালিত করেন না।
61-8 : তারা ফুঁ দিয়ে নিভিয়ে দিতে চায় আল্লাহর নূরকে, অথচ আল্লাহ্ তাঁর নূরকে পরিপূর্ণ উদ্ভাসিত করবেনই, কাফিররা তা অপছন্দ করলেও।
61-9 : আল্লাহ্ তো সেই মহান সত্তা, যিনি তাঁর রসূলকে হিদায়াত এবং সত্য দীন দিয়ে পাঠিয়েছেন, তাকে অন্যসব দীনের উপর বিজয়ী করার উদ্দেশ্যে, মুশরিকরা তা অপছন্দ করলেও।
61-10 : হে ঈমানদার লোকেরা! আমি কি তোমাদের এমন এক তিজারতের (ব্যবসায়ের) সংবাদ দেবো, যা তোমাদের নাজাত (মুক্তি) দেবে বেদনাদায়ক আযাব থেকে?
61-11 : তাহলো: তোমরা ঈমান রাখবে আল্লাহর প্রতি এবং তাঁর রসূলের প্রতি, আর জিহাদ (চেষ্টা সংগ্রাম) করবে আল্লাহর পথে তোমাদের অর্থ সম্পদ এবং জান - প্রাণ দিয়ে। তোমাদের জন্যে এটাই কল্যাণকর যদি তোমরা জানো!
61-12 : (এ তিজারত করলে) তিনি ক্ষমা করে দেবেন তোমাদের গুনাহ্ এবং তোমাদের দাখিল (প্রবেশ) করবেন জান্নাতে, যার নিচে দিয়ে থাকবে বহমান নদ নদী নহর। আরো থাকবে স্থায়ী জান্নাতে চমৎকার আবাস (বাসগৃহ) সমূহ। এটাই মহাসাফল্য!
61-13 : তোমাদের জন্যে আরো থাকবে যা তোমরা আকাঙ্ক্ষা করো সেটা (অর্থাৎ) আল্লাহর সাহায্য আর নিকটবর্তী (সময়ের মধ্যে) বিজয়। (হে নবী!) মুমিনদের সুসংবাদ দাও।
61-14 : হে ঈমানদার লোকেরা! তোমরা আল্লাহর সাহায্যকারী হয়ে যাও, যেমন ঈসা ইবনে মরিয়ম হাওয়ারীদের (তার সাথিদের) বলেছিল: ‘আল্লাহর পথে কে হবে আমার সাহায্যকারী?’ হাওয়ারীরা বলেছিল: ‘আমরা হবো আল্লাহর পথে সাহায্যকারী।’ ফলে বনি ইসরাঈলের একদল লোক ঈমান আনে, আরেক দল করে কুফুরি। তখন আমরা ঈমান আনা লোকদের সাহায্য করলাম তাদের শত্রুদের মোকাবেলায় এবং তারা অর্জন করলো বিজয়।