মক্কায় অবতীর্ণ, আয়াত সংখ্যা: ৫২, রুকু সংখ্যা: ০৭এই সূরার আলোচ্যসূচি
|
14-1 : আলিফ লাম রা। এই কিতাব আমরা তোমার প্রতি নাযিল করেছি, যাতে করে তুমি মানব সমাজকে বের করে আনো অন্ধকাররাশি থেকে আলোতে, তাদের প্রভুর অনুমতিক্রমে মহাপরাক্রমশালী সপ্রশংসিত আল্লাহর পথে। |
14-2 : আল্লাহ্, মহাকাশ এবং এই পৃথিবীতে যা কিছু আছে সবই তাঁর। আর কাফিরদের জন্যে রয়েছে কঠোর আযাবের দুর্ভোগ। |
14-3 : যারা দুনিয়ার জীবনকে বেশি মহববত করে আখিরাতের চাইতে, আর আল্লাহর পথে বাধা সৃষ্টি করে এবং তাতে সন্ধান করে বক্রতার, তারা বিপথে চলে গেছে বহুদূর। |
14-4 : আমরা একজন রসূলও পাঠাইনি তার স্বজাতির ভাষায় ছাড়া, যাতে করে সে তাদেরকে স্পষ্ট করে বার্তা পৌঁছাতে পারে। তারপর আল্লাহ্ যাকে চান বিপথগামী করে দেন আর যাকে চান সঠিক পথে পরিচালিত করেন। তিনি দুর্জয় ক্ষমতাবান মহাজ্ঞানী। |
14-5 : আমরা আমাদের এক গুচ্ছ নিদর্শনসহ মূসাকে পাঠিয়েছিলাম এই নির্দেশ দিয়ে: ‘তুমি তোমার কওমকে অন্ধকাররাশি থেকে আলোতে বের করে আনো আর তাদেরকে আল্লাহর দিনগুলোর কথা স্মরণ করিয়ে দিতে থাকো। এতে পরম ধৈর্যশীল কৃতজ্ঞ লোকদের জন্যে রয়েছে নিদর্শন।’ |
14-6 : স্মরণ করো, মূসা তার কওমকে বলেছিল: ‘‘তোমরা তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহের কথা স্মরণ করো যখন তিনি তোমাদের নাজাত দিয়েছিলেন ফেরাউন গোষ্ঠীর কবল থেকে। তারা তোমাদের দিয়েছিল নিকৃষ্ট ধরনের আযাব। তারা যবাই করছিল তোমাদের পুত্র সন্তানদের আর জীবিত রাখছিল তোমাদের নারীদের। এতে তোমাদের প্রভুর পক্ষ থেকে তোমাদের জন্যে ছিলো এক বিরাট পরীক্ষা। |
14-7 : স্মরণ করো, তোমাদের প্রভু তোমাদের জানিয়ে দিয়েছিলেন, তোমরা যদি শোকর গুজারি করো তাহলে আমি তোমাদের আরো বেশি করে দেবো, আর যদি অকৃতজ্ঞ হও, তবে আমার আযাব অবশ্যি কঠোর।’’ |
14-8 : মূসা আরো বলেছিল: ‘তোমরা এবং পৃথিবীর সবাইও যদি আল্লাহর প্রতি অকৃতজ্ঞ হও, তবু আল্লাহ্ সবার থেকে প্রয়োজনমুক্ত স্বয়ম্ভর সপ্রশংসিত। |
14-9 : তোমাদের কাছে কি তোমাদের আগেকার লোকদের সংবাদ আসেনি, নূহের জাতি, আদ জাতি ও সামুদ জাতির সংবাদ? আর তাদের পরবর্তীদের সংবাদ? তাদের বিষয়ে আল্লাহ্ ছাড়া আর কেউ জানেন না। তাদের কাছে তাদের রসূলরা এসেছিল সুস্পষ্ট নিদর্শন নিয়ে, কিন্তু তারা তাদের হাত তাদের মুখে চেপে ধরেছিল এবং বলেছিল: ‘তোমরা যা নিয়ে প্রেরিত হয়েছো তার প্রতি আমরা কুফুরি করলাম। তোমরা যার প্রতি আমাদের ডাকছো সে বিষয়ে বিভ্রান্তিকর সন্দেহের মধ্যে আমরা রয়েছি।’ |
14-10 : তাদের রসূলরা বলেছিল: ‘আল্লাহর সম্পর্কে তোমাদের সন্দেহ? অথচ তিনিই মহাকাশ ও পৃথিবীর স্রষ্টা। তিনি তোমাদের পাপ ক্ষমা করে দেয়ার উদ্দেশ্যে তোমাদের ডাকছেন আর একটা নির্দিষ্ট সময়কাল পর্যন্ত তোমাদের অবকাশ দেয়ার জন্যে।’ তারা বলেছিল: ‘তোমরা তো আমাদের মতোই মানুষ। তোমরা তো চাইছো, আমাদের পূর্ব পুরুষরা যে সবের ইবাদত করতো আমাদেরকে সেগুলো থেকে বাধা দিতে। তোমরা আমাদেরকে সুস্পষ্ট প্রমাণ দেখাও।’ |
14-11 : তাদের রসূলরা তাদের বলেছিল: ‘‘আমরা অবশ্যি তোমাদের মতো মানুষ, কিন্তু আল্লাহ্ তাঁর বান্দাদের যাকে চান, তার প্রতি অনুগ্রহ করেন। আল্লাহর অনুমতি ছাড়া তোমাদের কাছে কোনো প্রমাণ নিয়ে আসা আমাদের কাজ নয়। মুমিনরা আল্লাহর উপরই ভরসা করে। |
14-12 : আমরা কেন আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করবো না, অথচ তিনিই তো আমাদেরকে সঠিক পথের সন্ধান দিয়েছেন? তোমরা আমাদের যতো কষ্টই দাও না কেন, আমরা অবশ্যি অটল - সহনশীল থাকবো। যারা নির্ভর করে তারা আল্লাহর উপর নির্ভর করুক।’’ |
14-13 : কাফিররা তাদের রসূলদের বলেছিল: ‘আমরা অবশ্যি আমাদের দেশ থেকে তোমাদের বের করে দেবো, অথবা তোমাদেরকে আমাদের ধর্মেই ফিরে আসতে হবে।’ তখন তাদের (রসূলদের) প্রভু তাদেরকে অহির মাধ্যমে জানিয়ে দেন: ‘‘আমরা অবশ্যি যালিমদের হালাক করে দেবো। |
14-14 : তাদের (ধ্বংসের) পরে আমরা তোমাদেরকেই দেশে প্রতিষ্ঠিত করবো। এটা তাদের জন্যে যারা আমার সামনে উপস্থিত হবার ভয় পোষণ করে এবং ভয় করে আমার ধমককে।’’ |
14-15 : তারা বিজয় কামনা করেছিল। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছিল প্রত্যেক উদ্ধত স্বৈরাচারী। |
14-16 : পরবর্তীতে তার জন্যে রয়েছে জাহান্নাম এবং তাকে পান করানো হবে গলিত পূঁজের পানি। |
14-17 : সে বহু কষ্টে এক ঢোক এক ঢোক করে গিলবে এবং গেলা তার জন্যে মোটেই সহজ হবেনা। চতুর্দিক থেকে মৃত্যু তাকে আচ্ছন্ন করবে, কিন্তু তার মউত হবেনা। এরপর তার উপর চেপে বসবে এক কঠিন আযাব। |
14-18 : যারা তাদের প্রভুর প্রতি কুফুরি করে তাদের উপমা হলো: তাদের আমলসমূহ হলো ভস্মের মতো, ঝড়ের দিনে বাতাস সেগুলো প্রচন্ড বেগে উড়িয়ে নিয়ে যায়। তাদের উপার্জনের কিছুই তারা কাজে লাগাতে সক্ষম হয়না। এটাই হলো ঘোরতর বিপথগামিতা। |
14-19 : তোমরা কি দেখছো না যে, আল্লাহ্ বাস্তবতার সাথে মহাকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন? তিনি চাইলে তোমাদের বিলুপ্ত করে নতুন সৃষ্টিকে অস্তিত্বে আনতে পারেন। |
14-20 : এ কাজ আল্লাহর জন্যে মোটেও কষ্টকর নয়। |
14-21 : সবাই যখন উপস্থিত হবে আল্লাহর কাছে। তখন দাম্ভিক কর্তৃত্বশালীদের উদ্দেশ্যে দুর্বলরা বলবে: ‘আমরা তো তোমাদের অনুসারী ছিলাম, এখন তোমরা কি আল্লাহর আযাব থেকে আমাদের কিছুমাত্র রক্ষা করতে পারবে?’ তারা বলবে: ‘আল্লাহ্ যদি আমাদেরকে সঠিক পথে চালাতেন, তাহলে আমরাও তোমাদেরকে সঠিক পথে পরিচালিত করতাম। এখন আমরা সহ্য করি কিংবা ধৈর্য হারাই একই কথা, এখান থেকে আমাদের নিষ্কৃতি নেই।’ |
14-22 : যখন বিচার কাজ শেষ হয়ে যাবে তখন শয়তান বলবে: ‘আল্লাহ্ তোমাদের ওয়াদা দিয়েছিলেন সত্য ওয়াদা। আর আমিও তোমাদের ওয়াদা দিয়েছিলাম, কিন্তু আমি তোমাদেরকে দেয়া ওয়াদা ভঙ্গ করেছি। তোমাদের উপর আমার কোনো কর্তৃত্ব ছিলনা। আমি তো কেবল তোমাদের আহবান করেছি। তোমরা আমার আহবানে সাড়া দিয়েছিলে। সুতরাং আজ আমাকে তিরস্কার করোনা, নিজেকে নিজে তিরস্কার করো। আমি তোমাদের রক্ষা করতে সক্ষম নই, তোমরাও আমাকে রক্ষা করতে সক্ষম নও। তোমরা যে আমাকে ইতোপূর্বে (পৃথিবীতে) আল্লাহর শরিক বানিয়েছিলে আমি সেটা অস্বীকার করছি। যালিমদের জন্যে তো রয়েছে বেদনাদায়ক আযাব।’ |
14-23 : যারা ঈমান এনেছে এবং আমলে সালেহ্ করেছে তাদের দাখিল করা হবে জান্নাতে (উদ্যানসমূহে), যেগুলোর নিচে দিয়ে বহমান থাকবে নদ - নদী - নহর। সেখানে থাকবে তারা চিরকাল তাদের প্রভুর অনুমতিক্রমে। সেখানে তাদের অভিবাদন হবে ‘সালাম’। |
14-24 : তুমি কি দেখছো না, আল্লাহ্ কিভাবে উপমা দিচ্ছেন: একটি উত্তম কথা যেনো একটি উত্তম গাছ, যার মূল মাটির গভীরে দৃঢ়ভাবে প্রোথিত আর যার শাখা - প্রশাখা উপরে বিস্তীর্ণ। |
14-25 : সেটি তার প্রভুর অনুমতিক্রমে প্রতিনিয়ত ফল দিয়ে থাকে। আল্লাহ্ মানুষের জন্যে উপমা দেন যেনো তারা উপদেশ গ্রহণ করে। |
14-26 : আর একটি মন্দ কথার উপমা হলো একটি মন্দ গাছ, যার মূল বিচ্ছিন্ন মাটির উপরিভাগে, তার কোনো স্থায়িত্ব নেই। |
14-27 : আল্লাহ্ মুমিনদের মজবুত অটল রাখেন মজবুত অটল কথার ভিত্তিতে দুনিয়ার জীবনেও এবং আখিরাতেও, আর বিভ্রান্ত করে দেন যালিমদের এবং আল্লাহ্ যা ইচ্ছা তাই করেন। |
14-28 : তুমি কি তাদের দেখছো না, যারা আল্লাহর অনুগ্রহ (ইসলাম) গ্রহণ করার বদলে কুফুরিকে আঁকড়ে ধরেছে এবং তারা তাদের কওমকে নামিয়ে এনেছে ধ্বংসের দুয়ারে? |
14-29 : জাহান্নামে, আর সেখানেই তারা প্রবেশ করবে। সেটা কতো যে নিকৃষ্ট আবাস! |
14-30 : তারা আল্লাহর সমকক্ষ বানায় মানুষকে তাঁর পথ থেকে বিভ্রান্ত করার উদ্দেশ্যে। হে নবী! তাদের বলো: ভোগ করে নাও, আর জেনে রাখো, তোমাদের ফিরে যাবার জায়গা হলো জাহান্নাম। |
14-31 : হে নবী! আমার ঈমানদার দাসদের বলো: তারা যেনো সালাত কায়েম করে এবং আমরা তাদের যে জীবিকা দিয়েছি তা থেকে যেনো ব্যয় করে গোপনে ও প্রকাশ্যে সেই দিনটি আসার আগেই, যেদিন কোনো বেচাকেনাও থাকবেনা আর কোনো বন্ধুতাও থাকবেনা। |
14-32 : আল্লাহ্, যিনি সৃষ্টি করেছেন মহাকাশ এবং এই পৃথিবী আর নাযিল করেছেন আসমান থেকে পানি, তারপর তা থেকে উৎপন্ন করেছেন ফল ফসল তোমাদের জন্যে জীবিকা হিসেবে। আর নৌযানকে তোমাদের নিয়ন্ত্রণাধীন করে দিয়েছেন, যাতে করে তাঁর নির্দেশক্রমে তা চলাচল করে সমুদ্রে এবং তিনি তোমাদেরই কল্যাণে নিয়োজিত করে দিয়েছেন নদ - নদীকে। |
14-33 : তিনি তোমাদেরই কল্যাণে নিয়োজিত করে দিয়েছেন সূর্য আর চাঁদকে। তারা অবিরাম একই নিয়ম মেনে চলে। তিনি তোমাদের কল্যাণে আরো নিয়োজিত করেছেন রাত আর দিনকে। |
14-34 : তোমরা তাঁর কাছে যা চেয়েছো (অর্থাৎ যা কিছু তোমাদের প্রয়োজন) তার প্রত্যেকটিই তিনি তোমাদের দিয়েছেন। তোমরা যদি তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ গণনা করো, তাহলে তার সংখ্যা নির্ণয় করতে পারবে না। নিশ্চয়ই মানুষ বড় যালিম, অকৃতজ্ঞ। |
14-35 : স্মরণ করো, ইবরাহিম বলেছিল: ‘‘আমার প্রভু! তুমি এই (মক্কা) নগরীকে নিরাপদ করে দাও এবং আমাকে ও আমার সন্তানদেরকে ভাষ্কর্য - প্রতিমা পূজা থেকে দূরে রেখো। |
14-36 : আমার প্রভু! এসব (প্রতিমা) বিপথগামী করেছে বহু মানুষকে। সুতরাং যে আমার অনুসরণ করবে, সেই হবে আমার লোক, আর যে আমার অবাধ্য হবে, সে ক্ষেত্রে তুমি তো পরম ক্ষমাশীল দয়াময়। |
14-37 : আমাদের প্রভু! আমি তো আমার বংশধরদের একটি অংশের বসবাসের ব্যবস্থা করেছি এই অনুর্বর উপত্যকায় তোমার সম্মানিত ঘরের কাছে। হে আমার প্রভু! এ জন্যে করেছি, যেনো তারা সালাত কায়েম করে। সুতরাং তুমি মানুষের হৃদয় তাদের প্রতি অনুরাগী করে দিও, আর তাদের জীবিকা দিও ফলফলারি দিয়ে, যাতে করে তারা তোমার শোকর আদায় করে। |
14-38 : আমাদের প্রভু! নিশ্চয়ই তুমি জানো আমরা যা গোপন করি এবং আমরা যা প্রকাশ করি। আর আসমান ও জমিনের কিছুই গোপন নেই আল্লাহর কাছে। |
14-39 : সমস্ত শোকরিয়া আল্লাহর, যিনি বৃদ্ধ বয়সে আমাকে ইসমাঈল এবং ইসহাককে দান করেছেন। নিশ্চয়ই আমার প্রভু দোয়া শুনে থাকেন। |
14-40 : আমার প্রভু! আমাকে সালাত কায়েমকারী বানাও এবং আমার বংশধরদেরকেও। আমাদের প্রভু! আমার দোয়া কবুল করো। |
14-41 : আমাদের প্রভু! আমাকে ক্ষমা করে দাও আর আমার পিতা - মাতাকে এবং মুমিনদেরকে সেইদিন, যেদিন অনুষ্ঠিত হবে হিসাব। |
14-42 : যালিমদের কর্মকান্ডের ব্যাপারে আল্লাহকে গাফিল মনে করোনা। তিনি তাদের অবকাশ দিচ্ছেন ঐ দিন পর্যন্ত যেদিন তাদের দৃষ্টি স্থির হয়ে যাবে। |
14-43 : সেদিন ভীত বিহবল হয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে তারা ছুটাছুটি করবে। নিজেদের দিকে ফিরবে না তাদের দৃষ্টি। তাদের অন্তর থাকবে উদাসীন। |
14-44 : যেদিন আযাব তাদেরকে পাকড়াও করে ফেলবে সেদিনটি সম্পর্কে মানুষকে সতর্ক করো। সেদিন যালিমরা বলবে: ‘আমাদের প্রভু! অল্পকালের জন্যে আমাদের অবকাশ দাও, আমরা তোমার আহবানে সাড়া দেবো এবং তোমার রসূলদের ইত্তেবা (অনুসরণ) করবো।’ (তাদের বলা হবে:) ইতোপূর্বে (দুনিয়ার জীবনে) তোমরা বলতে না যে, তোমাদের পতন হবেনা? |
14-45 : অথচ তোমরা তো বাস করতে সেইসব আবাস ভূমিতেই, যারা (তোমাদের আগে) নিজেদের প্রতি যুলুম করেছিল, আর এটাও তোমাদের কাছে পরিষ্কার ছিলো যে, আমরা তাদের সাথে কী আচরণ করেছিলাম? আমরা তো তোমাদের কাছে তাদের দৃষ্টান্ত পেশ করেছিলাম। |
14-46 : তারা চক্রান্ত করেছিল তাদের প্রাণান্তকর চক্রান্ত। তাদের চক্রান্ত আল্লাহ্ রদ করে দিয়েছেন। যদিও তারা এমন চক্রান্ত করেছিল যাতে পাহাড় পর্যন্ত টলে যেতো। |
14-47 : তুমি কখনো মনে করোনা যে, আল্লাহ্ তাঁর রসূলদের দেয়া ওয়াদা খেলাফ করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ মহাপরাক্রমশালী, প্রতিশোধ গ্রহণকারী। |
14-48 : যেদিন এই পৃথিবী পরিবর্তিত হয়ে যাবে অন্য একটি পৃথিবীতে এবং মহাকাশও, তখন সমস্ত মানুষ উপস্থিত হয়ে যাবে আল্লাহর সামনে, যিনি এক এবং মহাপরাক্রমশালী। |
14-49 : সেদিন তুমি অপরাধীদের দেখবে শৃংখলিত। |
14-50 : তাদের জামা হবে আলকাতরার, আর তাদের চেহারা ঢেকে নেবে আগুন। |
14-51 : এটা এ জন্যে হবে, যাতে করে আল্লাহ্ প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার কর্মফল দিয়ে দেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী। |
14-52 : এটি (এ কুরআন) মানুষের জন্যে একটি বার্তা, যাতে করে এর মাধ্যমে মানুষকে সতর্ক করা যায় এবং মানুষ জানতে পারে যে, নিশ্চয়ই তিনি একমাত্র ইলাহ্, আর যেনো বুঝ বুদ্ধি সম্পন্ন লোকেরা উপদেশ গ্রহণ করে। |